বগুড়ায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ভোটগ্রহণ, চলছে গণনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪ ১৭:২২ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ২৯ বার।

বগুড়ায় জাল ভোট প্রদান, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৩ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি, প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রার্থীর এজেন্টকে আটকের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপে তিন উপজেলার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে প্রতি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু করেছে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে তিন উপজেলায় মোট গড়ে ২০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস। 

 

 

এদিকে,  সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। 

 

বেলা ১১টার দিকে গাবতলী উপজেলার  রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের মাঝপাড়া কুসুমকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার বাহিরে দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও রফি নেওয়াজ খান রবিনের এজেন্টকে আটক করে পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝপাড়া কুসুম কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।

 

অপরদিকে একই উপজেলার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে দুটি বুথে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই অভিযোগে  প্রিসাইডিং অফিসার এ টি এম আমিনুল ইসলামকেও অব্যাহতি দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তার পরিবর্তে বগুড়া সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রফিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন, হাফিজার রহমান ও  আব্দুল মোত্তালিব।

 

এছাড়াও এই উপজেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার একে উপরের উপর অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা।  তবে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট সম্পন্ন হয়েছে। 

 

গাবতলী, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।  এর মধ্যে শুধু সোনাতলা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা ফিদা হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিন উপজেলার ২২২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহন হয়। প্রতিটি উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট, কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েণসহ র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, স্ট্রািইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন।