এক টুকরো কাপড়ে মিলল লাশের পরিচয়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩২ বার।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর পিরোজপুর ইউনিয়নের পিয়ারনগর এলাকার একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশের পাশে পড়ে থাকা এক টুকরো কাপড়ই পরিচয় খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।

বুধবার সকালে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। নিহতের নাম জান্নাতুল জেবা। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার মান্নান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

জেবা গোপালগঞ্জ জেলার চরমানিকদা গ্রামের দিদার মিয়ার মেয়ে। দিদার কোনাপাড়া এলাকায় মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

গত শুক্রবার অজ্ঞাতনামা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনারগাঁ থানার এসআই পংকজ কান্তি সরকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই আবুল কালাম আজাদকে। এর পর এসআই আজাদ আলামত সংগ্রহ শুরু করেন। পরে লাশের পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া এক টুকরো কাপড় সংগ্রহ করে ধুয়ে পরিস্কার করে লাশের পরিচয় শনাক্তে বিভিন্ন থানায় হাজির হয়ে চেষ্টা চালান তিনি।

এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, উদ্ধারের চার দিনের মাথায় অজ্ঞাত লাশের পরিচয় উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। দুর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ ফেলে যাওয়ার পর হিংস্র কোনো প্রাণীর কামড়ে লাশের গায়ে পরনের জামা থেকে এক টুকরো কাপড় খসে পড়ে। খসে পড়া কাপড় সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যান। পরে ডেমরা থানার একটি সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে নিখোঁজ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করা কাপড় ও পায়ের জুতা দেখালে পরিবার লাশটি তাদের মেয়ের বলে শনাক্ত করে। পরে ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশের প্রকৃত পরিচয় উদ্‌ঘাটন সম্ভব হয়।

নিহত ছাত্রীর মা মানছুরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তার মেয়েকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তার পরনের কাপড়ের টুকরো দেখে তারা মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে সঠিক বিচার চেয়েছেন তিনি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে