দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জার্মানির কাছে হারেনি আর্জেন্টিনা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৮ বার।

প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও খেই হারায়নি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জার্মানির মাঠ থেকে রোমাঞ্চকর এক ড্র নিয়ে ফিরেছে লিওনেল স্কালোনির দল।

জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে বুধবার রাতে জার্মানি ও আর্জেন্টিনা মধ্যকার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের হয়ে দুটি গোল করেন সের্গে জিনাব্রি ও কাই হার্ভাটস। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান বদলি নামা লুকাস আলারিও ও অভিষিক্ত লুকাস ওকাম্পোস।

শক্তিশালী দল দুটি মধ্যকার লড়াইটা যেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালের আবহ তৈরি করেছিল। তবে এই ম্যাচে জার্মান একাদশে ছিলেন না নিয়মিতদের অনেকে। ছিলেন না ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের একজন সদস্যও। চারজন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে তারুণ্যনির্ভর একাদশ সাজান জার্মান কোচ জোয়াকিম লো।

অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্জেন্টিনা একাদশে ছিলেন না দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসি। ছিলেন না আক্রমণভাগের অপর দুই খেলোয়াড় আনহেল ডি মারিয়া ও সের্হিও আগুয়েরোও। তাদেরকে ছাড়াই দ্বিতীয়ার্ধে লড়াকু ফুটবল খেলে মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়ে তারা।

ম্যাচ শুরুর পঞ্চদশ মিনিটে জার্মানিকে এগিয়ে নেন জিনাব্রি। ছয় গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই উইঙ্গার। জার্মানির হয়ে এ নিয়ে এগারো ম্যাচে ১০টি গোল করলেন ২৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্বাগতিক দলের কাই হার্ভাটস। এই গোলেও অবদান জিনাব্রির। তার দ্রুত গতির পাস ধরে ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে লক্ষ্যে বল পাঠান মিডফিল্ডার হার্ভাটস। ৩১তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে তৃতীয় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। লেফট-ব্যাক মার্সেলের দারুণ ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাধা পায়। স্বাগতিক দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সামনে ২-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যায় স্কালোনির দল।

দ্বিতীয়ার্ধে উদ্যম নিয়ে মাঠে নেমে হতাশা কাটিয়ে তোলে আর্জেন্টিনা। মার্কোস আকুনার ক্রস থেকে নিখুঁত হেডে জাল খুঁজে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান পাওলো দিবালার পরিবর্তে বদলি নামা আলারিও। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে সমতাসূচক গোলটি করেন লুকাম্পোস। এই গোলেও অবদান রাখেন আলারিও। তার পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে নেওয়া শটে গোলটি করেন আনহেল কোররেয়ার বদলি নামা ওকাম্পোস। সমতাতে শেষ হয় লড়াই।