‘সম্রাট রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৪ বার।

ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার মা। খবর দেশ রুপান্তর 

সম্রাটের মা সায়েরা খাতুন চৌধুরী রোববার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ‘জীবন রক্ষা, উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত মুক্তির দাবিতে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কারাবন্দী সম্রাট অসুস্থ দাবি করে সায়েরা খাতুন তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ছাড়া সম্রাট ‘কোনো ভুলত্রুটি থাকলে’ তা ক্ষমা করে দিতেও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান।

সম্রাট কার আক্রোশের শিকার সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে সম্রাটের ভাই রাশেদ চৌধুরী বলেন, যখনই সম্রাট নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন, তখনই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে সায়েরা খাতুন চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সম্রাটের বোন ফারহানা আক্তার চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর আমার সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সে স্থান থেকে কোনো প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই।

আরও বলা হয়, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম সম্রাটকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলার সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ার সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সব ব্যাগ দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে সম্রাটকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

সায়েরা খাতুন বলেন, তার ছেলে ক্যাসিনোর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সম্রাট শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর সব সমাবেশ সফল করতে সম্রাট সব সময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন।

গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র‍্যাব। পরে, রাজধানীর কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয় থেকে ১১০০ পিস ইয়াবা, ১৫ বোতল বিদেশি মদ, দুইটি ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন, চাইনিজ পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, নির্যাতনের মাধ্যমে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।