নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৪ বার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেখানে নদী ভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।’ খবর যুগান্তর অনলাইন 

এসময় তিনি ১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪ টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওই সময় এক অধিবেশনে সরকারদলীয় নেতা বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।’

এই সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত ও নদীভাঙন কবলিতদের পাশে দাঁড়াতে সবর্দা সজাগ থাকে ও সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন ‘ আমরা নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সেগুলো ড্রেজিং করছি। ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেয়ার কাজ করছি। আর তা আপনাদের কাছে দৃশ্যমান।’

বঙ্গবন্ধুর নেয়া উদ্যোগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্ল গাইডসও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন শুধু নিজের দেশই নয় প্রতিবেশী দেশসমূহের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই সরকার।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যেকোনও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।’