চাকরির নামে প্রতারণা

বগুড়ায় ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রেফতার ১

দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৪৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭১৫ বার।

রেলওয়েতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে বগুড়ায় ৪৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে আহসানুল হাসান লিটন (৩৮) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সদরের লাহেড়িপাড়া ইউনিয়নের বুজরুক মাঝিড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে। শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত লিটনের স্ত্রী মনি বেগম (৩০) পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত লিটনের সাথে মামলার বাদি নাটোরের মাটিয়াপাড়ার মৃত মোজাহার আলীর ছেলে হাসান আলীসহ তার ৫-৬ জন বন্ধুর পরিচয় হয় ও তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়াও চলতে থাকে। একপর্যায়ে লিটন নিজেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয় এবং সাড়ে ৭ লক্ষ করে টাকা দিলে চাকরি নিয়ে দেবে বলে আশ্বাস্ত করে। লিটনের কথামতো মামলার বাদি সহ ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা ২০১৬ সালের মার্চ মাসে লিটনের বাড়িতে গিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে আসে। ওই বছর ডিসেম্বরের ২০ তারিখে চাকরি হয়ে গেছে বলে লিটন তাদের কাছ থেকে আরো ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।  

এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে লিটন তাদের ডেকে নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেয়। এসময় নিয়োগপত্রে যোগদানের তারিখ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ লেখা ছিলো। কিন্তু ওই তারিখের আগেই লিটন তাদের ফোন দিয়ে চাকরিতে যোগদানের সময় পরিবর্তন হয়েছে বলে জানায়। এভাবে বেশ কিছুদিন পার হয়ে যায়। পরে লিটন তাদের হাতে আবার নিয়োগপত্র দিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে রেলওয়ে সৈয়দপুর নীলফামারিতে যোগদান করতে বলে। তারা নিয়োগপত্র নিয়ে সেখানে গেলে তাদের নিয়োগপত্র ভুয়া বলে জানায় অফিসের কর্মকর্তারা।

এভাবে অভিযুক্ত লিটন ও তার স্ত্রী মনি ৬ যুবকের কাছ থেকে ৪৩ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। পরবর্তীতে তার কাছে টাকা ফেরত দাবি করলে সে কোন টাকা দিবেনা ভলে ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দেয়।  

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, মামলা দায়ের পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তক লিটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত তার স্ত্রী মনি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। 

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে আজ আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। একই সাথে তার স্ত্রীর পাশাপাশি যদি অন্য কেউ জড়িত থাকে তবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।