ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে স্বামীর হাতে খুন হলেন স্ত্রী!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫০ বার।

ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে স্বামীর হাতে খুন হলেন এক নারী। নিহত ওই নারীর নাম মধুমিতা। এই ঘটনায় তার স্বামী শিবু কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মহেশতলা থানার মেমানপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, বছর ১৫ আগে শিবু কর্মকারের সঙ্গে মধুমিতার বিয়ে হয়। শিবুর প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরির কারখানা ছিল। ২০১৭ সালে ব্যাগ তৈরির ওপরে নিষেধজ্ঞা জারি হলে সংসারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়।

এর পরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ওই বছরই মধুমিতা বাপের বাড়ি চলে যান। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নেন তিনি।

মধুমিতা ও শিবুর ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। তবে মা মামার বাড়ি চলে যাওয়ার পর ছেলে ইমন তার বাবার সঙ্গেই থাকত।

গতকাল রোববার ইমনের জন্মদিন ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে মধুমিতা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই তিনি ছুটিতে ছিলেন। এদিন তার কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল।

তাই শনিবার বিকালেই ইমনকে শুভেচ্ছা জানাতে কিছু উপহারসহ বোন পারমিতাকে নিয়ে মেমানপুরের বাড়িতে যান মধুমিতা। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শিবু।

ছেলের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে সে মধুমিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এর পরই মহেশতলা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন মধুমিতা।

মহেশতলা থানা সূত্র জানিয়েছে, মধুমিতা ও শিবুর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশ মেনে ছেলে বাবার কাছেই রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোর্টের নির্দেশ না থাকলে মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। অথচ মধুমিতা তেমন কোনো নথি পুলিশে দেখাতে পারেননি। এর পরেই মহেশতলা থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মহেশতলা থানা থেকে ফিরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ফের শিবুর বাড়ি যান মধুমিতা। তখনই শিবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে মধুমিতাকে এলোপাতাড়ি কোপায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা শিবুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর মধুমিতাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।