সিরিয়ায় অভিযান: তুরস্কের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৯ বার।

উত্তর সিরিয়ায় সামরিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের দুই মন্ত্রী ও তিন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে বিবিসি। খবর সমকাল অনলাইন 

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এই খবরের পাশাপাশি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে ফোন করেছেন।

পেন্স আরও জানান, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অঞ্চলটি পরিদর্শনে যাবেন।

সিরিয়ার সেনাবাহিনী আগেই উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এই কারণে তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে।

কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি চুক্তি অনুসরণ করছে, যুক্তরাষ্ট্র সপ্তাহখানেক আগেও কুর্দিদের মিত্র ছিল।

তুরস্ক প্রথম থেকেই বলছে, তাদের উদ্দেশ সীমান্ত অঞ্চল থেকে কুর্দি বাহিনীকে সরিয়ে দিয়ে একটি ‘সেফ জোন’ তৈরি করা।  যা সিরিয়া সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। সেখানে নিজেদের ভূমিতে থাকা সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন চায় আঙ্কারা। কিন্তু স্থানীয় কুর্দিদের ওপর জাতিগত নির্মূলের আশঙ্কা করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন অনেকে।

সোমবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অর্থ সচিব স্টিভেন নুচিন বলেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, “তুরস্কের সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ওই অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে।”

ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরও কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে।

এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়। এর প্রতিক্রিয়া তুরস্ক বলেছে, ‘বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক’ আচরণের জন্য ইইউ-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে।

সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য ‘সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠা এবং তুর্কি সীমান্ত থেকে কুর্দি পিকেকে যোদ্ধাদের দূরে সরিয়ে রাখতে গত সপ্তাহে আসাদ-বিরোধী যোদ্ধাদের নিয়ে উত্তর সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্কের সেনাবাহিনী। এতে ব্যাপক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।