গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী

বগুড়ায় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী আলিশার ১৫ দিনেও খোঁজ মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১০:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৭ বার।

বগুড়ায় অপহরণের ১৫ দিন পরেও মাদ্রাসা ছাত্রী কানিজ ফাতেমা আলিশাকে (১২) উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারাও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনের এমন নির্লিপ্ততায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ তার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন  আলিশার বাবা আমজাদ হোসেন অবিলম্বে তার মেয়েকে উদ্ধার এবং অপহরণে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

আমজাদ হোসেন নিজেকে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন, আমার মেয়ে কানিজ ফাতেমা আলিশা) বগুড়া মালতিনগর এলাকার খাতুনে জামিয়া ইসলামিয়া খাতুনে জান্নাত ( রাঃ) বালিকা মাদ্রাসার ৬ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে তাকে সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ফকিরপাড়ার সুরত জামানের ছেলে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র মিল্লাত হোসেন (১৭) প্রায়ই উত্যক্ত করে। বিষয়টি তার মামা একই এলাকার মৃত আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে মুক্তার হোসেনসহ অভিভাবকদের জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

 গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার স্ত্রী মেয়ে আলিশাকে নিয়ে আমার এক ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। শহরের পিটিআই মোড়ে পৌঁছানোর পর পরই মিল্লাত হোসেন ও তার মামা মুক্তারসহ বেশ কয়েকজন এসে আলিশাকে তার মায়ের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, বিষয়টি স্ত্রী মোবাইল ফোনে জানানোর পর আমিসহ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মিল্লাত হোসেন ও তার মামা মুক্তার হোসেনের  বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে সদর থানায় এজাহার দাখিল করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ চারদিন পর ৬ অক্টোবর মামলাটি রেকর্ড করে। কিন্তু অপহৃত আলিশাকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এরপর গত ১১ অক্টোবর বগুড়া র‌্যাব ক্যাম্পেও অভিযোগ দাখিল করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, এতকিছুর পরেও আলিশকে আমরা ফিরে পাইনি। সে জীবিত আছে না’কি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে সেটিও আমরা জানিনা।’ আলিশার সন্ধান পেতে তিনি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত মিল্লাত হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক আছে কি’না সেটা তিনি জানেন না।