সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে

বগুড়ার সঃ আঃ হক কলেজে আবরার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১১:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬৮ বার।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপতৎপরতা বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার উদ্যোগে ওই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে সংগঠনটির কলেজ শাখার সভাপতি পলাশ চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে কলেজের কলা ভবনের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিয়তি সরকার নিতুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ধনঞ্জয় বর্মন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক  মুক্তা আক্তার মীম, সরকারি আজিজুল হক কলেজের রিতু খাতুন, বিপুল আহমেদ ও আসাদুজ্জামান নূর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, 'গত ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা সবাই চিহ্নিত। তাই বিচারহীনতার সংস্কৃতি পরিহার করে দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, 'অন্যদিকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপতৎপরতা চলছে। ৬১'র অধ্যাদেশ অনুযায়ী বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি আগে থেকেই  নিষিদ্ধ ছিল। সন্ত্রাসী রাজনীতিকে প্রশাসন ঠাঁই দিয়েছে। তারা সেখানে গড়ে তুলেছে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সেল। চাঁদাবাজি, হল দখল, টেন্ডার বাজি যখন যা খুশি করতো চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীরা। আর তাদের আশ্রয়দাতা ছিল বুয়েট প্রশাসন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও দাবী তুলেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রাজনীতি বন্ধের। তারা চাইনি বিরোধী দল-মতকে দমন করার অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিতে। বুয়েট প্রশাসন একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা। প্রশাসন বিরোধী দল-মতকে দমন করতে চায়।  তারই অংশ হিসেবে আবরার কে হত্যা করে তার রাজনৈতিক  দেশপ্রেমী চেতনাকে দমন করা হলো। এরকম অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিতে পারে না।' 

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশে অতীতেও সনি হত্যা হয়েছে , বকরকে হত্যা করা হয়েছে, বিশ্বজিৎ কে হত্যা করা হয়েছে তার ন্যায়বিচার হয়নি। তাই নতুন করে এ সংস্কৃতি্র পুনরাবৃত্তি না করার দাবি জানান তারা।

সমাবেশ শেষে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয় বরং ছাত্র রাজনীতির মুখোশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় তাদের সংগঠন নিষিদ্ধ করে এক উন্নত, আদর্শ রাজনীতির বিপ্লবী ধারাকে অব্যাহত রাখার আহবান জানানো হয়।