বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্প পাশ হওয়ায় বগুড়ায় আ’লীগের আনন্দ মিছিল

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৪৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৯৩ বার।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদিত হওয়ায় বগুড়ায় আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার দুপুরে শহরের টেম্পল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বড় ধরনের ওই প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। শুধু বগুড়াবাসীই নয় পাশের জেলা সিরাজগঞ্জের জনগণও ওই দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল সিরাজগঞ্জে এক জনসভায় বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর বগুড়ায় অপর এক জনসভায় তিনি ওই প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তবে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় ডুয়েল গেজের দু’টি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি হলো- বগুড়া স্টেশন থেকে আড়াই কিলোমিটার পশ্চিমে ছোট বেলাইল এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জের এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার এবং অপরটি হলো বগুড়ার কাহালু স্টেশন থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ। মূলত সান্তাহারের দিক থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে সান্তাহার হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেনগুলো যাতে বগুড়া স্টেশনকে এড়িয়ে সরাসরি চলাচল করতে পারে সেজন্য কাহালু-রাণীরহাট রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
বগুগড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় বুধবার বগুড়ায় আওয়ামী লীগের মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন তিনি যা বলেন তা করে দেখান। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলাাথ নির্মাণ প্রকল্প তার সর্বশেষ উদাহারণ। গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের কোন দেশ এত দ্রুত করতে পারেনি। পদ্মা সেতুসহ যত বড় বড় প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়। দেশপ্রেম থাকলেই শুধুমাত্র এ রকম উন্নয়ন করা সম্ভব।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট  মকবুল হোসেন মুকুল, মঞ্জুরুল আলম মোহন, প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু, শাহ্ আখতারুজ্জামান ডিউক, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, সুলতান মাহমুদ খান রনি, মাশরাফী হিরো ও আল রাজি জুয়েল।