পদ্মা সেতুর কাজ ২০২১ সালের জুনে শেষ হবে: সেতুমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের ৮৪ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে।

দুপুরে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি জানান, সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।

২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু, পদ্মা নদী খুব আনপ্রেডিক্টেবল একটি নদী। এখানে একই সাথে তীব্র স্রোত থাকে এবং প্রচুর পলি বহন করে। এতে করে পিয়ারে স্প্যান বসানো সম্ভব হয় না। যার ফলে সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা যায় না।’

মন্ত্রী জানান, মূল সেতুর সব পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩২টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ চলমান আছে। মোট ৪১টি ট্রাস বা স্প্যানের মধ্যে ৩১টি চীন থেকে মাওয়া সাইটে এসেছে। যার মধ্যে ১৪টি স্প্যান পিয়ারে স্থাপন করা হয়েছে, ১৫তমটি বসানোর জন্য পিয়ার ২৩-২৪ এর কাছে অবস্থান করছে। চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিয়ারের কাছে রাখা আছে।

পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য দুই হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাব প্রয়োজন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, দুই হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলো নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। আর স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১টি স্ল্যাব। সেই সাথে দুই হাজার ৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেক স্ল্যাবের মধ্যে এক হাজার ৫৫৩টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪টি স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি জানান, মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছে নয় হাজার ২০১ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা।

নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। চুক্তিমূল্য আট হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে চার হাজার ৩৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা।

সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পতিত থাকা কিছু জমিতে সেনাবাহিনীর ডেইরি ফার্ম করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেতু প্রকল্পের একখণ্ড জমি আছে যেটা কাজে লাগবে না। সে জমিটা পতিত না রেখে সেনাবাহিনীর ডেইরি ফার্ম করা হবে। সেখানে দুধ ও মাংস উৎপাদন হবে। গবাদি পশুর প্রজনন ও জাত উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। জাতীয় অর্থনীতির জিডিপিতে ভূমিকা রাখবে।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমসহ পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

খবর ইউএনবি।