নানিকে হাতুড়ির আঘাতে খুনঃ আত্মসমর্পণ নাতির

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯২ বার।

রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকাঝকা করেন নানি। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছোটকাল থেকে লালন-পালনকারী নানি ফুলমালা বেগমকে (৬০) হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেছেন নাতি পলাশ (২০)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড়া গ্রামে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। খবর দেশ রুপান্তর 

নিহত ফুলমালা বেগম মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড়া গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী।

মাধবদী থানা পুলিশ জানায়, মাধবদীর কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর মেয়েকে পার্শ্ববর্তী স্বর্পনিগৈর গ্রামের ইসলামের নিকট বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর মেয়ের জামাইয়ের মৃত্যুতে ফুলমালা নাতি পলাশকে লালন পালন করার জন্য নিজের কাছে নিয়ে আসেন।

পরে নাতিকে স্কুলে ভর্তি করে নিজের কাছে রেখে দেন। এরই মধ্যে পলাশ এসএসসি পাস করে একটি কলেজে লেখা পড়া করতে থাকেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নাতি পলাশ বাড়িতে এসে বৃদ্ধা ফুলমালার কাছে ভাত খেতে চান। রাতে দেরি করে বাড়িতে ফেরায় তাকে বকাঝকা করেন ফুলমালা।

এ নিয়ে নানির সঙ্গে পলাশের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে নাতি পলাশ হাতের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে নানির মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নানির মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পলাশ লাশের পাশে বসে নরসিংদী পুলিশ সুপারের ফোন নম্বরে কল করে নানিকে হত্যার কথা জানান। পরে রাতেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মাধবদী থানায় নিহত ফুলমালা বেগমের ছেলে শামীম আহমেদ বাদী হয়ে পলাশকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকারী নাতি পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।