বগুড়ায় ৬ ক্যাটাগরিতে ৬২ পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত

অরুপ রতন শীল
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩০৯ বার।

বগুড়ায় ছয় ক্যাটাগরিতে এবার সেপ্টেম্বর মাসের কর্ম সম্পাদনে ৬২ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। শনিবার সকালে পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ এবং অপরাধ সভায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তাদের পুরষ্কৃত করেন।

এসময় জেলা পুলিশের সভায় জেলা পুলিশের  পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে  সফিজুল ইসলাম, মোকবুল হোসেন, আব্দুল জলিল এবং আরিফুর রহমান মণ্ডল,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের মধ্যে সনাতন চক্রবর্তী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতনকর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।

‘চৌকস কার্য সম্পাদন’, ‘শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী’, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী‘সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী, বিশেষ পুরষ্কার,’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন’ - এই ছয় ক্যাটাগরিতে সেরা পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট , নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ওই ছয় ক্যাটাগরিতে কনস্টেবল, এটিএসআই, এএসআই, এসআই, সার্জেন্ট,ওসি, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং সার্কেল অফিসারদের পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

চৌকস কার্য সম্পাদনকারী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন বগুড়া নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আহমেদ রাজিউর রহমান, শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছে বগুড়া সদর থানার ওসি  এসএম বদিউজ্জামান। শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর  ডিবির ইনচার্জ আছলাম আলী,  শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে-  সদর থানার জাহিদুল ইসলাম, শেরপুর থানার আতোয়ার রহমান এবং সদর ফাঁড়ির জিলালুর রহমান। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়া সদর থানার  মাসুদ রানা, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির আহাম্মদ রুস্তম ফারুক এবং জেলা বিশেষ শাখার খবির উদ্দিন।

শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন  ডিবি শাখার এসআই  ফয়সাল হোসেন।

শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী নির্বাচিত হয়েছেন ডিবি পুলিশের ১৪ সদস্য। এসআই এর মধ্যে  যথাক্রমে- ইনামুল ইসলাম, ওয়াদুদ আলী, সাইফুল ইসলাম, এএসআই এর মধ্যে যথাক্রমে- নাজিম উদ্দীন, রতন আলী, রুহুল আমিন, মনিরুল ইসলাম, শামসুজ্জামান, কনস্টেবলের মধ্যে যথাক্রমে- মোঃ আলীম, গোবিন্দ মহন্ত, রেজাউল করিম, কাবিল হোসেন, জহুরুল ইসলাম এবং মোসাঃ আখি খাতুন।

সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিলকারী নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে সদর ট্রাফিকের সার্জেন্ট গোপাল চন্দ্র মন্ডল।

বিশেষ পুরস্কার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সার্কেল নির্বাচিত হয়েছেন  আদমদিঘী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কে, এইচ এম এরশাদ, শ্রেষ্ঠ এসআই ডিবি পুলিশের সাইফুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই রিপন চন্দ্র বর্মণ, একে এম রাসেল আহম্মেদ, শ্রেষ্ঠ নারী হেল্প ডেক্স কর্মকর্তা ধুনট থানার এএসআই মনোয়ারা খাতুন এবং শ্রেষ্ঠ ড্রাইঃ কনস্টেবল সাদেকুল ইসলাম।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ এস আই নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুর রহমান।

ওই সভায় পুলিশ বাহিনীর আরও ২৯ সদস্যকে অর্থ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেনঃ এস আই যথাক্রমে - সদর থানার সোলায়মান আলী, আদমদিঘী থানার ফজলুল হক ও আবু সাঈদ, শিবগঞ্জ থানার সাহেব গণি ও মোস্তাফিজুর রহমান,  নন্দীগ্রাম থানার জিন্নুর রহমান এবং শেরপুর থানার  আতিকুর রহমান।

এছাড়া এএসআই পদে অর্থ পুরস্কার লাভ করেন যথাক্রমে- সদর থানার আবু তাহের, আব্দুস সালাম, মাসুদ রানা, এনামুল হক, সোহেল রানা-২,  শাজাহানপুর থানার হাবিবুর রহমান, শিবগঞ্জ থানার মামুনুর রশিদ ও মোঃ মোস্তার, সোনাতলা থানার মাসুদ রানা, গাবতলী মডেল থানার মনিরুল ইসলাম, আদমদিঘী থানার মিঠুন কুমার, দুপচাঁচিয়া থানার হাফিজুর রহমান, নন্দীগ্রাম থানার আতিকুর রহমান, কাহালু থানার ওবাইদুল ইসলাম, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শেরপুর থানার সবুজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, ধুনট থানার আব্দুস সালাম, আব্দুল জব্বার,  সদর থানার এটিএসআই নাছিম উদ্দিন এবং উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির মোঃ বদিউজ্জামান।

এছাড়াও ৩ জন পুলিশ সদস্যকে অবসরোত্তর সংবর্ধনা দেয়া হয়।