ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী-ছেলেদের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩২ বার।

যুবলীগের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরদিনই ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লেনদেন স্থগিত করতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একই সঙ্গে তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, তিন ছেলে ও দুই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। সোমবার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল থেকে সব ব্যাংকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর ওমর ফারুক চৌধুরীর অ্যাকাউন্ট তলব করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। এছাড়া সরকার থেকে সম্প্রতি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, মো. ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির আহমেদ চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিতের অনুরোধ করা হলো। তার মালিকাধীন লেক ভিউ প্রোপার্টিজ ও রাও কনস্ট্রাকশনের অ্যাকাউন্ট থেকেও অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর করা যাবে না। চিঠি পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে স্থগিতাদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত তথ্য দ্রুততম সময়ে এনবিআরে পাঠাতে বলা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশের ১১৬ ধারার ক্ষমতাবলে এ আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ দিন তাকেসহ যুবলীগের চার নেতাকে গণভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 

দুর্নীতি ও অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান শুরুর প্রথম দিন গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযানের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন ওমর ফারুক চৌধুরী। চলমান অভিযানকে 'রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযান চলাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে অনেককে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের ওমর ফারুক চৌধুরী পৃষ্টপোষকতা দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া যুবলীগের বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে কোটি-কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট জব্দ করলো এনবিআর।