টাকার জন্য বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন ছেলের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৮ বার।

গাজীপুরে স্কুলশিক্ষক বাবাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধে। বাবাকে হত্যার পর ছেলে  নিজেই ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানিয়ে দেন তিনি তার বাবাকে হত্যা করেছেন।

সোমবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ছেলে এমরান হাশমিত রাতুলকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। তিনি রাজধানী উত্তরার ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

তার বাবা নিহত আবদুল ওয়াদুদ ওরফে বাবুল মাস্টার (৫৫) একই গ্রামের মৃত আবদুল রশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়ার উপজেলার তরগাঁও কোহিনুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ডান পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাচল করতেন।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, লতিফপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে রাতে বাবুল মাস্টার ও ছেলে রাতুলের সঙ্গে টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলে রাতুল ঘরে থাকা রড দিয়ে বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

তিনি জানান, পরে ছেলে রাতুল নিজেই জাতীয় তথ্য সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ছেলেকে আটক করে। গুরুতর আহত তার বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রাতুল মানসিক রোগী। এর আগে তাকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশীদ আলম (রফিক প্রধান) জানান, রাতুল প্রায়ই টাকার জন্য বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতো। প্রতি মাসে রাতুলের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিলেও অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।