ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ: বিসিবি সভাপতি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭১ বার।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছেন। এই ধর্মঘটে ভারত সিরিজ পড়ে গেছে অনিশ্চয়তার মুখে। তারা দাবি মানা না হলে সকল ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মনে করেন, ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বোর্ডের ভাবমূর্তি দেশের বাইরে ক্ষুন্ন করতে চায়। খবর সমকাল অনলাইন 

সাকিব-তামিমদের ধর্মঘট নিয়ে মঙ্গলবার বিসিবি কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি কর্তা পাপন জানান, ক্রিকেটারদের কিছু বলার থাকলে আমাদের কাছে এসে বলবে। কিন্তু মিডিয়ার কাছে কেন। মাশরাফি-সাকিবদের চাওয়ায় তাদের বেতন বাড়িয়ে চার লাখ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়া হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। অর্থের জন্য তারা খেলা বন্ধ করবে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। 

বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, 'ক্রিকেট নিয়ে একটা মহলে চক্রান্ত হচ্ছে। তারা প্রথমে ভেবেছিল বিসিবিকে আক্রমণ করে, অন্যান্য পরিচালকদের আক্রমণ করে দেশের বাইরে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে। এটি শুরু হয়েছে বিসিবির একজন পরিচালক গ্রেফতারের পর। উনি গ্রেফতার হবার পর পুরো ব্যাপারটা নিয়ে বাইরের লোক ষড়যন্ত্র করছে। আইসিসির কাছে অভিযোগ করেছে। জিম্বাবুয়ের মতো আমাদের বোর্ডকে সাসপেন্ড করাতে চেয়েছে।'

তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রের কথা দুই-একজন ক্রিকেটার জানে। অন্যরা না জেনে ধর্মঘটে এসেছে। তারা প্রথম ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে দ্বিতীয় ধাপে ক্রিকেটারদের ব্যবহার করছে। ক্রিকেটাররা মিডিয়ার কাছে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় আইসিসি, এসিসি থেকে শুরু করে সব জায়গায় আমাদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় ওরা তাই সফল হয়েছে।'

বিসিবি সভাপতি বলেন, তারা একটি জায়গায় সফল হয়েছে। সেটা হলো ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পেরেছে তারা। তবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের আলাপের পথ খোলা আছে। 

এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন। সব বয়কট করায় পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেন বিসিবি'র কর্মকর্তারা। দুপুর ১২টায় ঢাকার মধ্যে থাকা বিসিবি পরিচালকদের নিয়ে এই বৈকঠ বসার কথা ছিল। তবে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় ওই বৈঠক।