গ্রামীণফোন এখন কত টাকা দিতে পারবে জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৫ বার।

বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে গ্রামীণফোন ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে- তা জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। ওই সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের- তা জানাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও শেখ ফজলে নূর তাপস। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

আদেশের পর খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আমরা আবেদন করেছিলাম। পরে লিখিত আদেশ পাওয়ার পর বুধবার লিভ টু আপিল ফাইল করেছিলাম। আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) দুই পক্ষকেই শুনেছেন। আজ কোনো আদেশ দেননি।

তিনি বলেন, কতগুলো পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত বলেছেন- নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (স্বত্ব চেয়ে মামলা) না করে স্যুট ফর অ্যাকাউন্টসে করা উচিত ছিল। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের নির্দেশনা নিতে বলেছেন, এখন তারা ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার আদালত আদেশ দেবে।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে দুই অপারেটরকে। বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অংক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির।

সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই অপারেটর। তবে পরে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠকও করেন। এরপর নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (স্বত্ত্বের মামলা) মামলা করে গ্রামীণফোন। ওই টাইটেল স্যুট মামলাটি আদালত গ্রহণ করে। ওই টাইটেল স্যুটের অধীনেই গ্রামীণফোন বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। যা গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দেন। নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।

গত ১৭ অক্টোবর সে আপিলটি গ্রহণ করে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ নভেম্বর গ্রামীণফোনের আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।

গত সোমবার চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখেন।

এর মধ্যে গত বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিটিআরসি। সে লিভ টু আপিলের আংশিক শুনানির পর আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা মুলতবি রাখেন আদালত।