ড্রোন উড়িয়ে পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা ধ্বংস
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়ে ডাকাতদের চার-পাচঁটি আস্তানা ধ্বংস করে দিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। শনিবার ভোর ৬ টা থেকে দুপুর দেড় পর্যন্ত টেকনাফের নিবন্ধিত নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-১৫, এর সিপিসি-১ টেকনাফ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারের জন্য ডাকাতরা এসব আস্তানা ব্যবহার করতো। খবর সমকাল অনলাইন
র্যাব জানায়, টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুড়া ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ত্রাস ডাকাত মোহাম্মদ জকির, কালা সেলিম, নুর কামাল, বুইল্ল্যা, রাজ্জাক ও আমিনসহ তাদের গ্রুপের সদস্যরা পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের নের্তৃত্বে তারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল। এদের ধরতেই র্যাব আস্তানাগুলোয় অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
অভিযান চলাকালে ডাকাতদের চার-পাচঁটি আস্তানায় ধ্বংস করে দেয় র্যাব। টেকনাফ কোম্পানি কমান্ডার এর লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ড্রোনের ব্যবহার করে গহিন পাহাড়ের ভেতরে ডাকাতদের আস্তানা সন্ধান মেলে। পরে আস্তানাগুলো কোন পাহাড়ে তা শনাক্ত করা হয়।’ তিনি জানান, আস্তানা শনাক্তের পরই র্যাবের একটি বিশেষ দল পাহাড়ে অভিযান চালায়।
ডাকাতদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় কাউকে কোনো ধরনের অপরাধে জড়াতে দেওয়া হবে না। সর্দার হাকিমসহ ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের খোঁজা হচ্ছে।’
এদিকে শুক্রবার র্যাব -১৫-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র্যাব ড্রোন নিয়ে টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ক্যাম্প লুটকারির প্রধান নুর আলম ওরফে জোবাইর র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত হন।