আদমদিঘীতে উদ্ধার সেই বোমা নিষ্ক্রিয়

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪০ বার।

বগুড়ার আদমদীঘিতে শিশুরা খেলা করার সময় পুকুর পাড়ে মাটির নিচে পাওয়া তিনটি গ্রেনেড ও ছয়টি স্থলমাইন বোমা ছিল তাজা পরে ধ্বংস করা হয়েছে। বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশনের (এটিও) ক্যাপ্টেন কাজী আরিফ মোহাম্মদ কনক এর নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের বোমা ডিস্পোজাল দল  রোববার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের সাগরপুর নামক স্থানে ইটভাটার পাশে ফাকা জায়গায় ওই সব বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করেন।

 
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় আদমদীঘির রামপুরা গ্রামের পশ্চিমে মছোর নামক পুকুর পাড়ে ৫/৬ জন শিশু খেলা করার সময় ইউসুফ (৮) নামের এক শিশু ধানকাটা কাচি দিয়ে ওই পুকুর পাড়ে মাটি খোঁড়ার সময় গ্রেনেড ও স্থলমাইন বের হতে থাকে। একে একে তিনটি গ্রেনেড ও ছয়টি স্থলমাইন বোমা পায় তারা। বোমা গুলো খেলনা হিসাবে শিশুরা খেলা করার সময় গ্রামবাসি দেখতে পেলে থানা পুলিশে খবর দেন। রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ বোমা গুলো উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রাখেন এবং রাতে বোমা বিশেষজ্ঞ ডিস্পোজাল দলকে পরীক্ষার জন্য খবর দেয়া হয়।  রোববার দুপুরে বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশনের ক্যাপ্টেন কাজী আরিফ মোহাম্মদ কনক-এর নেতৃত্বে বোমা ডিস্পোজাল দল উদ্ধার করা ৩টি গ্রেনেড ও ৬টি স্থলমাইন তাজা হিসাবে সনাক্ত করেন। পরে উল্লেখিত স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশনের (এটিও) ক্যাপ্টেন কাজী আরিফ মোহাম্মদ কনক জানায়, বোমা গুলো সতেজ ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।