সরকার ক্যাসিনো করে কৃষিপ্রধান দেশকে সিঙ্গাপুরের মত উন্নত করতে চায়: ফখরুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৬ বার।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বীকার করেছে তারা শুদ্ধ নয়, কাদায় পরিপূর্ণ। তাই নিজেদের শুদ্ধ করতে অসলদের বাদ দিয়ে চুনপুঁটি দিয়ে শুদ্ধি অভিযান চালাছে। যাদের নির্দেশে ভাগবাটোয়ারা হয় তারা কোথায়? সরকার ক্যাসিনো করে কৃষিপ্রধান দেশকে সিঙ্গাপুরের মত উন্নত করতে চায়। খবর সমকাল অনলাইন 

সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা কৃষক দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে বুঝি কৃষক ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে। কৃত্রিম ভাবে জিডিপির উন্নয়ন দেখিয়ে এই উন্নয়নকে উন্নয়ন বলা যাবে না। এই উন্নয়ন আত্যহননকারী উন্নয়ন। যে উন্নয়ন আমাকে পরর্নিভরশীল করবে, যে উন্নয়ন ঋণগ্রস্ত করবে, যে উন্নয়ন ভবিষ্যতকে বন্ধ করে দিবে, সে উন্নয়ন উন্নয়ন হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার নতজানু সরকার-আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কোন দিন জাতিকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে পারবে না। এ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে তা কখনোই সুষ্ঠু হবে না। সে কারণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা বিএনপির বড় দাবি। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, জয়ী হবো ইনশাল্লাহ। জেলে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি, কিন্তু অধীকার আদায় না করে পরাজয় মেনে নেব না। সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। তিনি খুব অসুস্থ, তারপরও ভাল ভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না।

ফখরুল বলেন, দুই বছর হয়ে গেল ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ জনকেও ফেরত দিতে পারেনি সরকার। বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে ভাল বন্ধু দেশ ভারত ও চীন রোহিঙ্গার বিষয়ে কোন কথা বলে না। মজার বিষয় সাগরে ভারত রাডার বসলে আমরা নাকি উপকৃত হবো। কিন্তু কিভাবে উপকৃত হবো সে বিষয় পরিস্কার নয়।

তিনি বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো সত্য বলার জন্য। এ রকম ঘটনা একটা নয় অনেক, যেগুলো প্রকাশ পায় না। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আমরা তৈরি করবো আগামীর ভবিষ্যৎ, সেখানে তৈরি হয়েছে টর্চার সেল। এই সমাজে মা, বোনেরা নিরাপদ নয়। বাবা কর্তৃক মেয়ে নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগ এ সমাজকে পঁচিয়ে দিয়েছে।

জেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সভাপত্বিতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন প্রমুখ।