সাকিবের সঙ্গে জেরার মুখে পড়েন মুশফিকও!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

জুয়াড়িদের কবল থেকে ক্রিকেটকে রক্ষা করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আইসিসি। তাদের হয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে কাজ করছে দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। জুয়াড়িরা ফোন কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কি না- সেদিকে কড়া নজর রাখছে তারা।

২ বছর আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় মোস্ট ওয়ান্টেড এক জুয়াড়ি। তবে সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে সেটি জানাননি তিনি। এ ব্যাপারে ওই সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হলেও বিষয়টি অস্বীকার করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পরে তাদের ফোন কল ট্র্যাক করে ঘটনার সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন ইউনিট। স্বভাবতই চেতেছে তারা। তাকে ১৮ মাস নিষিদ্ধের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আকসু।

একই কারণে সেসময় মুশফিকুর রহিমকেও আকসুর জেরার সামনে পড়তে হয়। জানতে চায় তাকেও কোনো জুয়াড়ি ফোন করেছে কি না? জবাবে মিস্টার ডিপেন্ডেবল জানান, সেরকম কারো কাছ থেকে ফোন পাননি তিনি।

পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি পর্যবেক্ষণের জন্য মুশফিকের মোবাইল ফোন চায় আকসু। সেই ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে তারা। তবে তাতে অমন কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহের তালিকা থেকে মুক্ত হন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

নিয়ম হচ্ছে, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে ৫/৬ বছরও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে পারেন ক্রিকেটার।