ড. ইউনূসকে হয়রানি না করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৬ বার।

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতদের তিন মামলায় নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকার শ্রম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

বিচারিক আদালতে নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে তার ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহীমের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।

ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় সমন পেয়েও আদালতে হাজির না হওয়ায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গত ৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম। বিদেশে থাকায় তিনি হাজির হতে পারেননি বলে ওই দিন আদালতকে জানিয়েছিলেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা।

ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, দেশে ফিরলে তিনি (ড. ইউনূস) যাতে নির্বিঘ্নে আদালতে যেতে পারেন সেজন্য এই রিট আবেদনটি করা হয়। আবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস একজন বিশিষ্ট নাগরিক, তিনি নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তার লুকিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। তিনি দেশে ফিরে আদালতে যাবেন। এ কারণে বিমানবন্দরে এসে তিনি যেন নির্বিঘ্নে আদালতে যেতে পারেন, সে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।’

রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, হাইকোর্ট আদেশে বলেছে, তিনি দেশে ফিরলে নির্বিঘ্নে আদালতে যেতে পারেন। তাকে কেউ হয়রানি করবে না। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে তিনি আদালতে হাজির হবেন।

গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের তিন নেতা আবদুস সালাম, শাহ আলম ও এমরানুল হক গত ৩ জুলাই এ মামলাটি করেছিলেন।

এরপর আদালত বিবাদীদের হাজির হতে সমন জারি করে। নির্ধারিত দিনে (গত ৯ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন আদালতে হাজির হন। বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস হাজির হতে পারেননি বলে জানান তার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।