বগুড়ার শাজাহানপুরে পৌর এলাকা থেকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ শুরু

শাজাহানপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৮৩ বার।

স্বেচ্ছায় অপসারণ না করায় অবশেষে বগুড়ার শাজাহানপুরে পৌর এলাকায় অবস্থিত অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার অন্তর্গত বগুড়া পৌরসভার ২১নং ওয়ার্ডের মাদলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স খান এন্ড সন্স নামের একটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সাথে ভাটা মালিক মো: সাখাওয়াত হোসেন খানের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তাজ উদ্দিন এর নেতৃত্বাধীন উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। ‘মেসার্স খান এন্ড সন্স’ ইটভাটাটি ফিক্সড চিমনীর ইটভাটা। যা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও ইট ভাটায় আগুন দেয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের নবায়ন না থাকা এবং ভাটাটি পৌর এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শাজাহানপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান সাহান জানিয়েছেন, বগুড়া পৌরসভার ২১ ও ১৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রায় ৩০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা অবৈধ ইটভাটা অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভাটা মালিকদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি সহ আরও কয়েকজন নিজ উদ্যোগে অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ ইটভাটা এখনও রয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় বগুড়া সূত্রে জানাগেছে, ‘মেসার্স খান এন্ড সন্স’ নামের অবৈধ ইটভাটার মালিক সাখাওয়াত হোসেন খানকে তার ইটভাটাটি স্বেচ্ছায় অপসারণের জন্য আদেশ দেন বিভাগীয় পরিচালক আশরাফুজ্জামান। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভাটা মালিক কর্তৃক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে আপিল করা হলে তা খারিজ হয়ে যায়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে গতকাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, বগুড়া পৌর এলাকার মধ্যে ২৫টি অবৈধ ইটভাটা আছে। এসব ইটভাটা স্বেচ্ছায় অপসারণ করতে ইটভাটা মালিকদের আদেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু সে আদেশের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকেরা হাই কোর্টে রীট করেছেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এসব ইটভাটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।