‘পেঁয়াজের দাম এখন শক অব দ্য কান্ট্রি’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৮ বার।

পেঁয়াজের দামবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম সব রেকর্ড ভেঙেছে। পেঁয়াজের দাম এখন শক অব দ্য কান্ট্রি।’ সরকারের সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  খবর বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছুঁই ছুঁই অবস্থা। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজও ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমার বা মিশর থেকে আনা পেঁয়াজের দামও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে আরও আগে।  এক বছরে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। আর এ মাসে বেড়েছে ৬১ শতাংশ।  গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ও ভুলনীতি সরকারের নীতি হওয়ার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবিলম্বে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে হবে।’

‘সরকারের বক্তব্য তোতা পাখির মতো বলছেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের পরিচালক’

‘খালেদা জিয়া প্রস্তুতি নিতে নিতে ২টা আড়াইটা বেজে যায়, অনেক সময় ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়’ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালকের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পরিচালকের বক্তব্য সত্যের অপলাপ।  খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি প্রতিদিন সকালের দিকেই রেডি হয়ে যান ইনসুলিন নিতে, চিকিৎসা নিতে। তিনি চিকিৎসকদের অপেক্ষায় বসে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসকরা দুপুর ১২টা থেকে ১টার আগে তার কেবিনে আসেন না। আমি পরিচালক সাহেবকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বিকাল ৪টা পর্যন্ত কবে কোন কোন ডাক্তার তার চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করেন, তাদের নাম জনগণকে বলুন। তিনি দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে সরকারের বক্তব্য তোতা পাখির মতো বলছেন।’

‘রাজনৈতিক কারণে সাজা’

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নিন্দা জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিচারকের এই রায় পূর্বপরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারক সাজা দেওয়ার জন্য অধিক উৎসাহিত হয়ে দ্রুত বিচারকার্য শেষ করেছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’