নতুন সড়ক আইনে যে অপরাধে যে সাজা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১১ বার।

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। পরিবহন খাতের বিভিন্ন পক্ষ বলছেন, বিধিমালা প্রণয়ন এবং প্রস্তুতি ও প্রচার ছাড়াই আইনটি কার্যকর হওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। জেল-জরিমানা বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে পারেন মালিক, চালক ও যাত্রীরা। 

নতুন এ আইনে সব ধরনের সাজা বাড়ানো হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে আগে আগে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা বা ৪ মাসের কারাদণ্ডের বিধান ছিল। নতুন আইনে এটি পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা বা ৬ মাসের জেলের বিধান করা হয়েছে।

ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মোটরযানের ফিটনেস সনদ ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

নতুন আইনে ট্রাফিক সংকেত ভঙ্গের জরিমানা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার, হেলমেট না পরলে জরিমানা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সিটবেল্ট না বাঁধলে, মোবাইল ফোনে কথা বললে চালকের আগের জরিমান ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

নতুন আইনে চালকদের লাইসেন্স পেতে অষ্টম শ্রেণি, সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, উল্টো পথে গাড়ি চালালেও জরিমানা ১০ হাজার টাকা। এছাড়া গাড়ি যত্রতত্র পার্কিং করলে জরিমানা ১০ হাজার টাকা এবং অবৈধ পার্কিং করলে জরিমানা ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে সারাদেশে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে একই বছরের ৫ আগস্ট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায় আট বছর ঝুলে থাকা সড়ক পরিবহন আইন। সেপ্টেম্বরে সংসদে পাসের পর গত ৮ অক্টোবর তা গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এর এক বছর পর শুক্রবার থেকে কার্যকর হল আইনটি।