রেসিডেনসিয়ালের ছাত্র আবরারের মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে সহপাঠীরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ১২:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৭ বার।

দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর আনন্দ আয়োজনে বিদ্যুৎস্পর্শে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে তার সহপাঠীরা। খবর যুগান্তর অনলাইন

৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে শনিবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের কাছে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিল আবরার।

সেখানে বিকালে অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে।

পরে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দুজন বিশেষজ্ঞ (এফসিপিএস) চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতেই রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে জানাজা শেষে আবরারের লাশ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর অনেকক্ষণ পরও ঘটনা চেপে রেখে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ। অধ্যক্ষ জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নাইমুল আবরার দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তার বাবা মজিবুর রহমান প্রবাসী। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, নাইমুল আবরারকে চিরকাল স্মরণ করা হবে। এ জাতীয় দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।