বগুড়ায় ক্লিনিক মালিকদের কর্মসূচী প্রত্যাহারঃ রোগীদের অপারেশন চলবে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৬১ বার।

বগুড়ায় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছেন। ফলে ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকেল থেকে ক্লিনিকগুলোতে অপারেশন কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জি এম সাকলাইন বিটুল জানান, চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বগুড়া জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে তারা কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ক্লিনিকগুলোতে নিয়োজিত অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকরা (সাধারণভাবে যাদেরকে অজ্ঞান করার ডাক্তার বলা হয়) রোগীদের অপারেশনের ক্ষেত্রে তাদের ফি বাড়িয়ে তা কার্যকরের জন্য ক্লিনিক মালিকদের জানিয়ে দেন। তবে তাদের ফি বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে তা মানতে অস্বীকৃতি জানান জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার দুপুরে তারা সভা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিকে অপাশেরন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। বগুড়া জেলায় প্রায় ২০০ ক্লিনিকে পালা করে অন্তত ৪৫জন অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন থাকেন। 
ক্লিনিক মালিকরা জানান, অ্যাপেন্ডিসের মত একটি ছোট অপারেশনের জন্য অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসকদের সাধারণত ৭০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা ৫০০ টাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি একবার রোগী দেখার জন্য আরও ৫০০ টাকাসহ মোট ১ হাজার ৭০০ টাকা দাবি করে বসেন। এদিকে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসদের ফি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে যারা অপারেশন করেন সেই চিকিৎসকরাও তাদের ফি ২ হাজার ৫০০ থেকে আরও বাড়ানোর দাবি জানাতে শুরু করেন। নাম প্রকাশে এক ক্লিনিক মালিক জানান, অ্যাপেন্ডিস অপারেশনের জন্য একজন রোগীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। তো অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসকদের দাবি অনুযাযী ফি বাড়াতে গেলে অপারেশনের চার্জও বাড়ানোর প্রয়োজন হবে কিন্তু রোগীরা তা দিতে চাইবেন না। এজন্যই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনর সভা থেকে তাদের ওই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচী প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাকলাইন বিটুল বলেন, আজ (শনিবার) রাতে বিএমএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের কার্যালয়ে একটি বৈঠক হবে। বিএমএ’র পক্ষ থেকে বৈঠকে বসার পূর্বেই আমাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। আমরা তাদের সেই অনুরোধ রেখেছি। আশা করছি রাতের বৈঠকে সম্মানজনক একটা সমাধানে আমরা পৌঁছাতে পারবো।’