পূর্বশত্রুতার জের-

বগুড়ার শেরপুরে গাড়ি চাপা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১২ বার।

বগুড়ার শেরপুরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু রায়হান ডনেলকে (২২) হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার  ওই শিক্ষার্থীর বাবা পৌরশহরের বারদুয়ারীপাড়া এলাকার আবু জিন্নাহ বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার (০১নভেম্বর) ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি শেষ বর্ষের মেধাবি শিক্ষার্থী আবু রায়হান ডনেল পারিবারিক প্রয়োজনীয় কাজে শেরপুর শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় যান। এসময় পূর্বশক্রতার জেরে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের বাঘমাড়া গ্রামের হামিদুল হক ভান্ডারীর ছেলে হাসিবুর রহমান ও একই ইউনিয়নের শেরুয়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন একটি প্রাইভেটকার যোগে এসে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এমনকি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র আবু রায়হান ডনেলকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের মারামারি থামান। একইসঙ্গে ডনেলকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাসায় যেতে বলেন। পরে শিক্ষার্থী ডনেল পায়ে হেটে উক্ত স্থানে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছিলেন। এসময় হাসিবুর রহমান প্রাইভেটকার গাড়ি দ্রুত চালিয়ে ডনেলকে হত্যার উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে চাপা দেয়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন। তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইাসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এসব অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে হাসিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে হাসিবুরের বাবা হামিদুল হক ভান্ডারি বলেন, বখাটে ডনেল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করায় তার ছেলে কেবল প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডনেল তার প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। এনিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া গাড়ি চাপা দেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।