নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে সিগারেট আনতে পাঠালেন শিক্ষক
নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় ক্লাশ চলাকালে শিশু শিক্ষার্থীদের বাই-সাইকেল নিয়ে এক কিঃমিঃ দূরের বাজার থেকে সিগারেট কিনে আনতে পাঠান একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ হয়ে পরলে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
ধূমপানের কারনে গলায় ও ফুসফুসে ক্যান্সার হয় এমন লেখা সহ গলার ভয়ানক ছবি ও সিগারেট এর প্যাকেটেই দেয়া রয়েছে। এছাড়া, ধূম-পানের ক্ষতিকারক-দিক নিয়ে, সরকারী ও বে-সরকারীভাবে জনসেচতনা মূলক প্রচার-প্রচারণা ও চালানো হচ্ছে সারাদেশ ব্যাপি। আর সেই ভয়ানক ছবি ও লেখা সম্বলিত সিগারেট ই বাজারের দোকান থেকে নিয়মিত কিনে আনতে বাধ্য করেন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। তাও আবার বিদ্যালয় থেকে এক কিঃ মিঃ দূরের একটি বাজারে বাই-সাইকেল যোগে সিগারেট আনতে পাঠান মানুষ তৈরীর কারিগর শিক্ষকরা। এছাড়াও ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত অসৎ আচরন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মানুষ তৈরীর কারিগর হিসাবে সমাজে পরিচিত শিক্ষক কর্তৃক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে সিগারেট কেনার ঘটনাটি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার শালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সারে ১০ টায় বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালিন ৫ম শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন কে বাই-সাইকেল যোগে সিগারেট কিনতে এক কিঃমিঃ দূরে চান্দা বাজারে পাঠান বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসাদ ওরফে টুটুল। আর সে সময়ই বাজারে ছেলেকে দেখে হতবাক পিতা ফারুক হোসেন ছেলেকে জিঞ্জাসা করে জানতে পারেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদ ওরফে টুটুল সহ প্রধান শিক্ষক এনামুল নিয়মিত এভাবেই শিশু শিক্ষার্থীদের হাত দিয়ে সিগারেট ক্রয় করেন। এরপর শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন এর পিতা ফারুক হোসেন ঐ দিনই বৃহস্পতিবার শালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদ ওরফে টুটুল ও প্রধান শিক্ষক এনামুল এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ে পড়–য়া দুজন শিক্ষার্থী সহ কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবেদককে জানান, শালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ও সহকারী শিক্ষক আসাদ ওরফে টুটুল দুজনই নিয়মিত ধূমপান করেন, তাও আবার বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের সামনেই।
এব্যাপারে শালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদ ওরফে টুটুল এর বক্তব্য নেয়া সম্ভব না হলেও ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল মোবাইল ফোনে বিদ্যালয় চলাকালে শিশু শিক্ষার্থীকে বাই-সাইকেল নিয়ে বাজারে পাঠানোর কথা এডিয়ে যান। অপরদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়–য়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে শিক্ষক কর্তৃক এক কিঃ মিঃ দূরের বাজার থেকে সিগারেট আনতে পাঠানোর ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর ঐ বিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা সহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।