এক ডজন ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্য

বগুড়ার সেই নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর  বিরুদ্ধে এবার দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৪৪ বার।

বগুড়ায় এক ডজন ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই এএফএম নূরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের (৪১) বিরুদ্ধে এবার মামলা করলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার দুপুরে তাদের নামে পৃথক দু’টি মামলাটি দায়ের করেন। একই সংস্থার অপর সহকারি পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী মামলা দু’টি রেকর্ড করেন। 
মামলা দু’টিতে এএফএম নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দু’জন বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও আকলিমা দম্পতিকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
দুদক জানায়, নুরুল ইসলাম বগুড়ায় বি.এড কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চারুকলা ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট ও মেডিকেল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন নামে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে আসছেন। প্রতারণার ওই অর্থ তিনি তার স্ত্রী আকলিমার ব্যাংকেও জমা করেন। এক পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা চলতি বছরের ১৪ জুলাই অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করেন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য চলতি বছরের ২৫ জুন পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। তারা দু’জন সেই চিঠি গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক থাকার কারণে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। অবশ্য তার পর তাদের কেউই আর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন নি। পরে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় নুরুল ইসলাম স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে আরও ৮২ রাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অবৈধভাবে অর্জিত ওই সম্পদের তথ্য তারা গোপনও করেছেন। যে কারণে অভিযুক্ত ওই দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।