মমতা, প্রিয়াঙ্কার ফোন হ্যাকের অভিযোগ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৪ বার।

হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ফোন হ্যাকের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তৃণমূলের নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের ফোন হ্যাকের অভিযোগ ওঠে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হ্যাকিংয়ে যুক্ত ব্যক্তি এবং মন্ত্রীদের উপযুক্ত শাস্তির জানায়।

কংগ্রেস জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ যাদের ফোন হ্যাক হয় তাদের সবাইকে বার্তা পাঠায়। এমন একটি বার্তা পান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র।

রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানান কংগ্রেস নেতা রনদিপ সুরজেওয়ালা। খবর এনডিটিভি।

বিজেপি সরকার ধরা পড়ে গেছে এমন দাবি করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করা হয়।

এর আগে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। জানি এটা। আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। সরকার সব জানে। সরকারই করছে'।

বিজেপিকে 'ভারতীয় জাসুস পার্টি' উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা সুরজেওয়ালা বলেন, সরকার বিষয়টি জানার পরও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল।

তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী ফেসবুকের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, অথচ তিনি সেই সময়ে এ হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেননি, এটা একটা রহস্যজনক নীরবতা।

এনডিটিভি জানায়, গত সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক অভিযোগ করে যে ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসও স্পাইওয়্যার পেগাসাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারগুলি ব্যবহার করেছে। তারা ২০ দেশের প্রায় এক হাজার ৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে।

ফেসবুক জানায়, ওই সংস্থা সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকারকর্মী এবং প্রবীণ সরকারি কর্মকর্তাদের হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারকে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করেছে।

মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসওয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করে।

যদিও এনএসও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তারা জানায়, আমরা এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি এবং আমরা এ অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আমাদের প্রযুক্তি মানবাধিকারকর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন বা লাইসেন্স করা হয়নি।

সংস্থাটি আরো বলে যে, পেগাসাস কেবল পরীক্ষিত এবং বৈধ সরকারি এজেন্সিগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত।