ভিটামিন ডি’য়ের ঘাটতি হলে যা হয়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৪ বার।
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি এমন এক দ্রবণীয় ভিটামিন যা ভিটামিন ডি-ওয়ান, ডি -২ এবং ডি-থ্রি অন্তর্ভুক্ত করে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে উন্নত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভিটামিন ডি ওজন হ্রাস ত্বরান্বিত করে, বিষণ্নতার লক্ষণগুলো হ্রাস করে এবং শরীরের কার্যকারিতা সচল রাখে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকন্যলজি ইনফরফেশন’ এর তথ্য অনুসারে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ ভিটামিন ডি’য়ের ঘাটতিতে ভোগে। মার্কিন ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষের গড়ে দৈনিক ১০ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি খাওয়া প্রয়োজন।

বিভিন্ন কারণে শরীরে ভিটামিন ডি’য়ের ঘাটতি হতে পারে। যেমন-

১. সূর্যের আলো ভিটামিন ডি’য়ের সবচেয়ে ভাল উৎস। কিন্তু অতিরিক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না।

২. দূষণ বেশি এমন এলাকায় বসবাস করলে ভিটামিন ডি’য়ের ঘাটতি হতে পারে।

৩. বাড়ির ভিতরে বেশি সময় কাটালে শরীরে ভিটামিন ডি প্রবেশ করতে পারে না।

৪. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না খেলেও শরীরে ভিটামিন ডি’য়ের অভাব দেখা দেয়। 

শরীরে ভিটামিন ডি’য়ের ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা দেখা দেবে-

১. ক্লান্তি, শরীরে নানা ধরনের ব্যথা এবং সারাক্ষণ অসুস্থতা বোধ হয়।

২.হাড় এবং পেশীতে যন্ত্রণা বা সাধারণ দুর্বলতা দেখা দেয়। এর ফলে সিঁড়িতে চড়তে বা মেঝেতে বসার পর উঠতে সমস্যা হতে পারে।

৩. অত্যধিক চুল পড়ে।

৪. যেকোন ধরনের আঘাত সারতে অনেক সময় লাগে।

৫. বিষন্নতা বা অবসাদ দেখা দেয়। 

সূর্যালোক থেকে সহজেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়া কিছু খাবার আছে যা থেকে আমরা ভিটামিন ডি এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামে পেতে পারি। এগুলোর মধ্যে চর্বিযুক্ত মাছ, দুগ্ধজাত সামগ্রী, দই, মাশরুম, পনির, কমলার রস , ডিমের কুসুম ,গরুর কলিজা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

সূত্র : এনডিটিভি