'দুই-তিনদিনের মধ্যে ১০০ টাকার নিচে নামবে পেঁয়াজের দাম'

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩ বার।

খুচরা পর্যায়ে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা। 

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আড়তদারদের সঙ্গে সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি কাগজ ছাড়া আমদানিকারকদের কাছ থেকে আর পেঁয়াজ না কেনার অঙ্গীকারও করেছেন তারা। পেঁয়াজের বাজার তদারকি করতে একটি মনিটরিং টিম গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। খবর সমকাল অনলাইন 

সভা শেষে খাতুনগঞ্জের হামিদুলতাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, '২-৩ দিন পরই ক্রেতারা খুচরা পর্যায়ে ১০০ টাকার ভেতরে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। আড়তদাররা যাতে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি করতে পারে এবং কাগজের মাধ্যমে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেজন্য আমরা আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেব।'

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সেলিম হোসেন বলেন, 'ভোক্তা পর্যায়ে যেন দাম ১০০ টাকার নিচে থাকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে এস আলম ও মেঘনা গ্রম্নপ পেঁয়াজ নিয়ে আসবে। সংকট আর থাকবে না। এসব পেঁয়াজ আসলে দাম ৬০-৭০ টাকায় হয়তো নেমে আসবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ উঠবে আর ভারতের পেঁয়াজও চলে আসবে। তখন দাম ৪০ টাকার নিচে নেমে যাবে। এ সময়ের মধ্যে যারা বড় ব্যবসা করতে চাইবে তারা ক্ষতির মুখে পড়বে।'

সভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বলে ধারণা করছি। ৪২ টাকায় কিনে যদি ৯৫ টাকায় বিক্রি করে তাহলে কেজিতে ৫৩ টাকা বেশি। শুধু আমদানিকারকরাই এভাবে ১৫৯ কোটি নিয়ে যাচ্ছে। এরপর খুচরায় আসতে আসতে এ অংক প্রায় ২১০ কোটি টাকা।'

সভায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, 'আপনারা কাগজ ছাড়া যে ব্যবসার কথা বলছেন সেটা তো তাহলে কালো ব্যবসা। এটা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসা হতে পারে না। এই যে ২০০ কোটি টাকার বেশি, এ টাকা কার পকেটে গেল? এই টাকা তো সাধারণ ক্রেতার পকেট থেকে চলে গেল। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, 'আপনারা কাগজপত্র ছাড়া মোবাইলে ব্যবসা করেছেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। কাগজের মাধ্যমে যখন ব্যবসা করা হবে তখন মনিটর করা যাবে, কত দামে কিনছেন। বেশি দামে যে পেঁয়াজ কিনেছেন তা কালকের মধ্যে বিক্রি শেষ করবেন। বৃহস্পতিবার থেকে দেখব কত দামে কিনছেন, ন্যায্য দামে বিক্রি করতে হবে। এডিসির নেতৃত্বে মনিটরিং টিম করে দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে অভিযান চলবে।'

এর আগে সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেকনাফ ও কপবাজারের যেসব আমদানিকারকের কাছ থেকে তারা পেঁয়াজ কেনেন, তাদের সঙ্গে আড়তদারদের পরিচয় নেই। মূলত ফড়িয়া বা এজেন্টের মাধ্যমেই তারা পেঁয়াজ কেনেন। আমদানিকারক ও এজেন্টদের বেঁধে দেওয়া বেশি দরে পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। এরপর আড়তে থাকা মজুদ পেঁয়াজ বিক্রি করতে চারদিন সময় চান ব্যবসায়ীরা। তাদের একদিনের মধ্যে মজুদ পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।