নতুন সড়ক পরিবহন আইন

বগুড়া বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স পেতে উপচে পড়া ভিড়

দোস্ত আউয়াল
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৭২ বার।

সড়ক পরিবহনে নতুন আইন পাশ ও শাস্তির মেয়াদ এবং জরিমানার হার বৃদ্ধিতে বগুড়া বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া অফিসের পাশেই ব্যাংকে লাইন ধরে মানুষ টাকা জমা দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিআরটিএ বগুড়া অফিসের সামনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আর রেজিস্ট্রেশনের জন্য শত শত মানুষ ভিড় দেখা যায়।

সড়ক পরিবহনে নতুন আইন  পাশ এবং অনেক হারে জরিমানা বাড়ায় বিআরটিএ আফিসে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। তাছাড়া ড্রাইভিং  লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হবে না এ কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুণ।

গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন। এই আইনে সড়কে নিয়ম ভঙ্গে জরিমানা বেড়েছে কয়েকগুণ থেকে হাজার গুণ পর্যন্ত। ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ফিটনেস সনদ না থাকলে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে নতুন আইনে। সেই সঙ্গে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। আগে এ অপরাধের জরিমানা ছিল মাত্র ৫০০ টাকা।

সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম নামের এক তরুন বলেন, নতুন আইনে যেন মামলার মুখে না পড়তে হয়,তাই নামের বানান ঠিক করতে আসছি।

লতিফপুর কলোনী এলাকা থেকে আসা মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আমার লাইসেন্সের কাজ প্রায় শেষ। শুধু আঙ্গুলের ছাপ দিতে আসছি । কিন্তু এতো ভীড় যে সেই সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি’।

এ ব্যাপারে বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে জরিমানার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহনের লাইসেন্স পেতে ভিড় বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, গত অক্টোবর মাসে একহাজার ৫৬৮টি শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন পড়ে। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর ৩-৬ নভেম্বরের মধ্যে ১১শতা আবেদন পড়েছে। মোটরসাইকেলের ৩৪৫ টাকা ও হালকা যানবাহনের জন্য ৫১৮ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন যানবাহনের মালিকরা তথ্য নিতে ভিড় করছেন।

ড্রাইভিং পরীক্ষার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'এখন সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু চাপ বাড়ার কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই পরীক্ষা সপ্তাহে ৪ দিন নেয়ার  সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'

বগুড়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম খান রেজা জানান, শুধু বাইক চালক নয়; অন্য আরোহীকেও হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে আরোহীও একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তিনি আরও জানান, নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া অনেকে যানবাহন চালানো থেকে বিরত থাকছেন। রাস্তায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক কমেছে।