স্বেচ্ছায় না গেলে লোকজনকে জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১১:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৪ বার।

লোকজন স্বেচ্ছায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে না গেলে তাদের জোর করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় এক জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। খবর সমকাল অনলাইন 

বিভাগীয় কমিশনার দুপুরে সার্কিট হাউজে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মানুষের জীবনরক্ষার জন্যই তাদের জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ উপকূলীয় বেশকিছু এলাকার মানুষ তাদের মালপত্র ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা জানিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে, তারা জনগণের মালামাল হেফাজতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবেন। 

তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ১১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। 

তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে যেসব এলাকায় বাঁধ নেই, জলোচ্ছাসের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো কাজ করছে। বরিশাল নৌ বন্দর থেকে ঢাকা-বরিশাল এবং অভ্যন্তরীন রুটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিকাল ৪টা থেকে বরিশাল বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে বরিশালে শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ২টার পর বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নগরীর জীবনযাত্রা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রযোজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। 

অন্যদিকে দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৩১৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিভাগের সব জেলার সংশ্লিষ্ট সব দফতরগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থ নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। নগরী ঘেষা কীর্তণখোলার তীরের বিদ্যালয়গুলো আশ্রয়কেন্দ্রের হিসেবে খোলা রাখা হয়েছে।