সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের জন্য ৫০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের নির্দেশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪০ বার।

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পর্যটকের জন্য ৫০ শতাংশ মূল্যছাড় দিতে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শনিবার দ্বীপে মাইকিং করে তা প্রচার করা হয়। এ ছাড়া পর্যটকদের তেমন কোনো সমস্যা নেই বলে জানান দ্বীপের স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে আটকাপড়া পর্যটকদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অন্তত আড়াইশ' শিক্ষার্থী রয়েছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য, কোস্টগার্ড, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও মাইকিং করেন এবং হোটেল মালিকদের মূল্য ছাড়ের নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন।

জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে ৭ নভেম্বর ভ্রমণে আসা পর্যটকরা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টেকনাফে ফিরতে পারেননি। ২ দিন পেরিয়ে গেলেও সেন্টমার্টিন ত্যাগ করতে পারেননি তারা। সেখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়ে আছেন।

সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহ জানান, পর্যটন মৌসুম শুরু হয় নভেম্বর মাস থেকে। আর এ সময় প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে দ্বীপে। নভেম্বরের ৮-৯ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি ও রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি থাকায় দ্বীপের শতাধিক হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ বুলবুলের কারণে সব এলোমেলো হয়ে গেল।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, দ্বীপে আটকা পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরাও আমাদের সহযোগিতা করছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাদের সার্বিক সেবা ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রস্তুত রয়েছে টেকনাফের ৬৪টি সাইক্লোন শেল্টার।

শেরপুর সদরের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক কামরুন্নাহার অনু (পিথি) (৩৯) জানান, আমরা পরিবারের বাচ্চাসহ ৭ জন সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসেছি। রাত যাপন করেছি হোটেল সাকিনাতে। আমার আব্বা অসুস্থ সময়মতো সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতে না পেরে দ্বীপে আটকে গেছি।