বুলবুলকে রুখে দেয় সুন্দরবন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৬ বার।

সুন্দরবন বদ্বীপ এলাকায় আছড়ে পড়ার চার ঘণ্টা আগেও প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন আবহাওয়াবিদরা। কারণ ঘন ঘন গতি পথ পাল্টে যাচ্ছিল। খবর দেশ রুপান্তর 

শেষ মুহূর্তে বোঝা যায় সুন্দরবনেই আছড়ে পড়তে চলেছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়টি। আর বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনে আছড়ে পড়ায় অনেকটা শক্তি হারিয়ে ফেলে।

রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবন অতিক্রম করতে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘসময় লাগে ও গতি কমে আসে। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বুলবুল বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত করতে পারেনি।

বুলবুল উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার ভোর ৫টার দিকে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।

বুলবুলের গতি কমার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, “বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। যখন ঘূর্ণিঝড় জলভাগের ওপর দিয়ে চলে, সেই জলভাগ ঘূর্ণিঝড়ের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু স্থলভাগে গাছ, স্থাপনা দাঁড়ানো থাকে। এগুলোর সঙ্গে সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ঘূর্ণিঝড়, বাধাপ্রাপ্ত হয়; এ কারণে ওর মধ্যে রিটার্নিং ফোর্সের  কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।”

তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের তিন দিকেই সুন্দরবন জুড়ে ছিল। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।”

এবারই প্রথম নয়, ২০০৭ সালের সিডর ও ২০০৯ সালের আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।