মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান কি টিকে থাকতে পারবে?

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৪ বার।

ইরানের তেল খাতকে লক্ষ্য করে আমেরিকা আজ থেকে কঠোর অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, "এতে কোনও সন্দেহ নেই যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন এ‌ই ষড়যন্ত্র করে যুক্তরাষ্ট্র কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারবে না"।খবর বিবিসি বাংলা

ইরান তেল রপ্তানির ওপর প্রচন্ডভাবে নির্ভরশীল এবং নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বহাল হলে দেশটির অর্থনীতিতে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। নতুন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সাথে বাণিজ্য-রত কোম্পানিগুলোকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

কিন্তু দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার ফলে এই কেম্পানিগুলোর আমেরিকার সাথে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়বে যা তাদের ঝুঁকি বাড়াবে।

আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?

ইরানের সাথে ২০১৫ সালে করা এক বহুপাক্ষিক চুক্তিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবছরের শুরুর দিকে তা থেকে বেরিয়ে যান। ওই চুক্তির ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর সরাসরি নজরদারি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যার বিনিময়ে বিশাল পরিসরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এক তরফাভাবে পুনরায় বহাল হচ্ছে।

এই ঘোষণা অন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর ইরান থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার ঘটনা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট এবং ইতোমধ্যে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি কমে গেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিভাবে কাজ করবে?


এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের সাথে কোনও দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে তাকেও নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হবে। অর্থাৎ কেউ ইরানের সাথে ব্যবসা করলে যুক্তরাষ্ট্রের দরজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

একইসঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনও মার্কিন কোম্পানি ইরানে ব্যবসা করে এমন কোম্পানির সাথে ব্যবসা করলে তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আজ সোমবার থেকে ব্যাংকিং সেক্টরেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গত অগাস্টে স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু এবং অটোমোবাইল সেক্টরসহ বেশকিছু শিল্পখাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল।

আমেরিকা পরিষ্কারভাবে যেটি চাইছে তা হল ইরানের সামগ্রিক তেল ব্যবসা বন্ধ করে দিতে কিন্তু আটটি দেশকে সাময়িক ছাড় হিসেবে সময় দিচ্ছে আমদানি কমিয়ে আনার জন্য। ইটালি, ভারত, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া এই আট দেশের অন্তর্ভুক্ত, দি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এর রিপোর্ট বলছে।

এই অবরোধ এড়ানোর উপায় হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে - যাতে ইরানের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যায়, আবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোরও শিকার হতে না হয়। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের মতো স্পেশাল পারপোজ ভিহাইকেল বা এসপিভি-র মাধ্যমে ইরান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সম্পাদন কো যাবে সরাসরি লেনদেন এড়িয়ে।