গর্ভবতী মায়েরা কী খাবেন, কী খাবেন না

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭০ বার।

গর্ভধারণের পর জীবনযাপনে সতর্কতা অবলম্বন না করলে বিপদ বেড়ে যায়। এই সময় ছোটখাটো যেকোনো ভুল আপনার জন্য বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে, বিশেষ করে খাবার সংক্রান্ত। গর্ভবতী মায়েদের জন্য টাইমস অব ইন্ডিয়া খাবারের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

যা খেতে পারেন: যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ড গর্ভবতী নারীদের গর্ভের শেষের দুই মাস তাদের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদার সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ গ্রাম আমিষ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। এসব আমিষ উৎকৃষ্ট অর্থাৎ প্রাণীজ হওয়া বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি খাবারে যেন ৫০০ মিলিগ্রাম অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ৫ মিলিগ্রাম লোহাও থাকে। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত দুধ ও বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে এ সময় অস্টিওম্যালেসিয়াম নামের অস্থি বা হাড়ের রোগ দেখা দেয়। আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে থাকা উচিত। কারণ আয়োডিন শিশুর বুদ্ধি বা মস্তিষ্কের বর্ধনের জন্য জরুরি। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যেখানে গর্ভস্থ শিশুর ওজন প্রতিদিন বড়জোর ১ গ্রাম করে বৃদ্ধি পায়, সেখানে পাঁচ মাসের পর থেকে প্রতিদিন ১০ গ্রাম করে ওজন বাড়তে শুরু করে। গর্ভাবস্থার শেষ দুই মাস শিশুর মোট ওজনের অর্ধেক বৃদ্ধি পায়। সে জন্য মায়ের পুষ্টির দিকটা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

খাদ্য তালিকা: সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত রুটি চারটি অথবা পরোটা দুটি, একটি ডিম ও দুই কাপ সবজি। ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ মিলিগ্রাম দুধ অথবা বাদাম ৬০ গ্রাম, বিস্কুট দুটি অথবা মুড়ি, যেকোনো একটি মৌসুমি ফল।

দুপুর: ভাত তিন কাপ (মাঝারি চায়ের কাপে), মাছ বা মাংস দুই টুকরো, সপ্তাহে একদিন সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজি, সালাদ ও লেবু, ডাল এক কাপ। বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টার ভেতর দুধ ২৫০ মিলিগ্রাম বা স্যুপ অথবা ৬০ গ্রাম বাদাম, বিস্কুট অথবা মুড়ি ৩০ গ্রাম অথবা নুডলস এক কাপ।

রাত: ভাত চার কাপ, মাছ বা মাংস অন্তত দুই টুকরো, সপ্তাহে একদিন সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজি এবং এক কাপ ডাল।

যা খাবেন না:

কাঁচা ডিম বা আধসেদ্ধ ডিম গর্ভাবস্থায় খাবেন না। কাঁচা ডিমে সালমনেল্লা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, সেই ডিম খেয়ে মায়ের ডায়রিয়া, ফুড পয়েজনিং, জ্বর, বমি, মাথা ঘোরা বা পেটে ব্যথা হতে পারে। গর্ভস্থ শিশুর প্রত্যক্ষভাবে কোনও ক্ষতি না হলেও, মায়ের অসুস্থতার কারণে তারও অসুবিধা সৃষ্টি হয়। কাঁচা ডিম যেমন খাবেন না, তেমনি যেসব খাবারে কাঁচা ডিম মেশানো থাকে, সেগুলিও এসময় বর্জন করুন।

আনারস: এই সুস্বাদু ফলটি আপনি খেতে পারেন তবে খুবই কম পরিমাণে এবং আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। আনারসে উপস্থিত ব্রোমিলিন নামের উৎসেচক গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে। প্রথম তিন মাস এই ফলটি একটুও না খাওয়াই ভালো।

কাঁচা পেঁপে:  গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে একেবারেই খাবেন না। কাঁচা পেঁপের পেপ্সিন ও প্যাপাইন ভ্রূণের ক্ষতি করে। আবার পেঁপের ল্যাটেক্স গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।