বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধানের বাজারে ধস, দরপতনে দিশেহারা কৃষক

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ১১:৫৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৫ বার।

কিছুদিন আগে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছিলো। কৃষকরা ক্ষেতে ধান দেখে বাম্পার ফলন ও সেই সাথে ভালো দাম পাবার আশায় আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলো। কিন্তু সেই আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাচ্ছে বাজারে গিয়ে ধান বিক্রির সময়। মৌসুমের শুরুতেই ধানের বাজারে দরপতনে দিশেহারা কৃষকরা। তাইতো ফলনে খুশি হলেও ধান বিক্রি করতে গিয়ে হতাশ কৃষকরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। অথচ এই দামে ধান বিক্রি করে কৃষকের খরচের টাকাও উঠছেনা। লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে একটি পৌরসভা ও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। বাজারে নতুন আমন ধান কেনা-বেচাও শুরু হয়েছে।

উপজেলার ধুন্দারহাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক তাপস কুমার বলেন, 'আমন ধানের চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ধানের চারা বাবদ চারশ টাকা, জমি চাষ এক হাজার টাকা, রোপন আটশ টাকা, সার (ইউরিয়া,পটাশ,ডেপ,জিপ,) দুই হাজার টাকা, কিটনাশক এক হাজার টাকা ও কাটা-মাড়াইয়ে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধানের বাজার ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মন থাকলে কৃষক লাভের মুখ দেখতে পারবে।'

রণবাঘাহাটে ধান বিক্রি করতে আসা রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, 'প্রতি বিঘা জমিতে ধানের ফলন হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ মণ। প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় আট থেকে নয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ধান বিক্রি করতে হচ্ছে সাত হাজার টাকায়। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে।'

হাটে দাশুরিয়া থেকে আসা ধান ক্রেতা ব্যাপারী হেলাল উদ্দিন বলেন, 'আমাদের এই ধান কিনে চাল করে বিক্রি করতে হয়। চালের বাজারে টান না থাকলে ধান বেশি দামে কেনা যায় না। তবে কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত।'