মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থন কানাডার

রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের করা মামলায় সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস।

গত সোমবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আদালতে মামলা দায়ের করে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়।

ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, এক বিবৃতিতে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টিতে কানাডার সমর্থন রয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে পূর্ণ সহায়তা সহায়তা প্রদান করা যায় সে পথ খুঁজছে কানাডা।’

গাম্বিয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আইনি সমাধানের জন্য সমমনা দেশগুলোকে নিয়ে কাজ করবে ক্যানাডা৷ রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং মিয়ানমারে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে কানাডা।’

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়ে। সেসময় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ঘটনার তদন্তে ২০১৮ সালে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করে জাতিসংঘ। এ কমিশন তাদের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জোরালো প্রমাণ তুলে ধরে। সেসময় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের এ প্রতিবেদনকে সমর্থন জানায় কানাডার হাউস অব কমন্স।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ঠেকাতে কোনো ভূমিকা রাখতে না পারার অভিযোগ এনে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেত্রী অং সান সুচিকে দেয়া সম্মানজনক নাগরিকত্বও বাতিল করে দেশটি।