তদন্ত কমিটি গঠন: দু’টি মামলা

বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে জন্মের পরই চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১১:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬২ বার।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে জন্মের পর পরই বুধবার দুপুরে চুরি করা নবজাতককে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় সদ্য ভূমিষ্ঠ হতভাগ্য শিশুর স্বজন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক দু’টি মামলা করেছেন। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচালকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বগুড়ার কাহালু উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের জনৈক সৌরভের সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী নাহিদা বেগম বুধবার দুপুরে শজিমেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে স্বাভাবিকভাবে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর পরই কর্তব্যরত নার্সরা শিশুটিকে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষমান নাহিদার নানী শ্বাশুড়ি ওবেদা বেগমের কোলে তুলে দেন।
ওবেদা বেগমের ভাষ্য অনুযায়ী, অপরিচিত এক মহিলা তার কাছে গিয়ে বলে বাচ্চাটি অসুস্থ। তাকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। এক পর্যায়ে ওই মহিলা ওবেদার কাছ থেকে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেয় এবং তাকে (ওবেদা) তার সঙ্গে যেতে বলে। পরে নিচতলায় নামার সময় ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত সেই মহিলা হারিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। 
শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচারক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বুধবার রাতেই ওয়ার্ড বয় তৈয়ব আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন। তাছাড়া বৃহস্পতিবার তাকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শুনেছি চুরি যাওয়া শিশুর স্বজনদের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়েছে।’ তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা একটি ক্লু খুঁজে পেয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে না।
বগুড়া শজিমেক হাসপতাাল সংলগ্ন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আজিজ মণ্ডল জানান, চুরি যাওয়া শিশুর চাচা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।