বিটিআরসিকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চায় গ্রামীণফোন
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
গ্রামীণফোনের কাছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে আপাতত ২০০ কোটি টাকা দিতে চায় গ্রামীণফোন।
আর ওই পাওনার অন্তত ৫০ ভাগ পরিশোধ করে পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে বাকি টাকা বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করেছে বিটিআরসি।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বেঞ্চে এ দুই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা এমন প্রস্তাব করেন।
সর্বোচ্চ আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও শেখ ফজলে নূর তাপস।
বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
এর আগে বিটিআরসির পাওনা দাবির মধ্যে গ্রামীণফোন কত দিতে পারবে তা জানাতে দুই দফা সময় দেয় আপিল বিভাগ।
গ্রামীণফোনের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীসহ দুজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক বৈঠকে গ্রামীণফোনের পক্ষে বিটিআরসিকে আপাতত ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। শর্ত হিসেবে গ্রামীণফোনের ওপর বিটিআরসির প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়।
শুনানিতে মাহবুবে আলম বলেন, গ্রামীণফোন পাওনা দাবির অন্তত ৫০ ভাগ টাকা পরিশোধ করুক। বাকি টাকার বিষয়ে পরবর্তীতে একটি কমিটি গঠন করে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সর্বোচ্চ আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করে।
১৭ অক্টোবর এক আদেশে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির ওই পাওনা আদায়ে ওপর দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসি ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বিটিআরসির দাবি, যন্ত্রপাতি আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তি দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের। সেই টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়।
১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যন্ত্রপাতি আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা ও এর সুদসহ এই টাকা দাবি করে ২ এপ্রিল চিঠি পাঠায় বিটিআরসি।
এ বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় বিটিআরসির পাওনার বিষয়ে আগস্টের শেষ সপ্তাহে ঢাকার সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি আদালতে স্বত্বের মামলার (টাইটেল স্যুট) আবেদন করে গ্রামীণফোন। সেই আবেদনটি গৃহীত হয়ে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই আবেদনের অধীনে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানানো হলে গত ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালতে সেটি খারিজ হয়ে যায়। পরে ওই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে গ্রামীণফোন।