আ’লীগের নেতৃত্বে জয়ের আসা না আসা নিয়ে যা বললেন কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১১:১৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৩ বার।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি ২১তম এ সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। খবর যুগান্তর অনলাইন 

সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে উপমহাদেশের প্রাচীন এই দলটি। নতুন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় থাকবেন কিনা এটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের বহুল আলোচিত বিষয়। গতবারের মতো এবারের সম্মেলনেও সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামটি জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। জয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসছেন কিনা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসছেন কিনা, এ বিষয়ে দলের কোনো নীতিনির্ধারক এখনও পরিষ্কার করে কিছুই বলছেন না। জয় এবার আওয়ামী লীগের কোনো পদে থাকবেন কিনা, এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে।

জবাবে তিনি বলেন, কমিটিতে কে থাকবে আর কে থাকবে না তা নির্ধারণ করার মালিক শেখ হাসিনা। তবে জয়কে এর আগেও বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি কমিটিতে থাকতে রাজি হননি। পীরগঞ্জে মনোনয়ন দেয়ার কথাও বলা হয়েছিল, তাতেও তিনি অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন- জয় কোনোটাতেই আগ্রহী নন। যে অবস্থায় কাজ করছে সে অবস্থাতেই থাকতে চায় জয়।

শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কমিটির কলেবর খুব একটা বাড়বে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসন্ন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটির কলেবর এখন পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই। সম্পাদকীয় পদ ছাড়া কোনো পদেই বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

এমপিদের উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা এমপি হতে পারেননি তারা যেন নেতা হওয়ার সুযোগ পায়। তবে জেলাপর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন এমপিরা। কারণ কেন্দ্রের সঙ্গে তাদের সমন্বয় করতে হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কমিটি বর্ধিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি কাকে নেতা বানাবেন কাকে বাদ দেবেন সেটা নেত্রীর এখতিয়ার।

জাতীয় সম্মেলনে প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলে যে পরিমাণ কাউন্সিলর থাকবে তার সমপরিমাণ ডেলিগেট থাকবে। দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তাদের চিঠিতে মতামত জানিয়ে দিতে পারেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। এ ছাড়া আগামী ৩০ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর। সে হিসাবে অক্টোবরের ২৩ তারিখে শেষ হয়েছে ত্রিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল উপস্থিত ছিলেন।