লন্ডভন্ড শিডিউল আর বন্ধ এসএমএস সার্ভিসে ভোগান্তিতে ট্রেনযাত্রীরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৩ বার।

রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বেনাপোল এক্সপ্রেসের। কিন্তু সেই ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়ল সকাল সাড়ে ৬টায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। কিন্তু সাড়ে ৬টা পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা ৯টায় ঠেকলেও ট্রেনের কোনো খবর নেই। খবর জাগো নিউজ 

এমন লন্ডভন্ড শিডিউল চলছে রেলে। গন্তব্য জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের চালু করা এসএমএস সার্ভিস অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে যাত্রীরা মোবাইলে এসএমএস দিয়েও জানতে পারছেন না ট্রেনের গন্তব্য। লন্ডভন্ড শিডিউল আর অকেজো এসএমএস সার্ভিসের কারণে শনিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনযাত্রীরা।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, কয়েকশ মানুষ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের একজন শামীম।

তিনি বলেন, যশোর যাওয়ার জন্য দুইদিন আগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের টিকিট কিনি। সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টার আগেই স্টেশনে পৌঁছায়। পরে শুনি ট্রেন আসতে দেরি হবে। এসএমএস দিয়ে ট্রেনের গন্তব্য জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এসএমএস দিলে বারবার ফিরতি এসএমএস আসছে ‘ডাটা নট এভেলেবেল’।

তিনি বলেন, সিডিউল ঠিক না থাকার পাশাপাশি এসএমএস সার্ভিস বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত স্টেশনে বসে রয়েছি। রাত সাড়ে ১২টার ট্রেন সকাল ৬টাতেও পাইনি। শুনছি সাড়ে ৬টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাড়বে। বাস্তবে কি হয় দেখি।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সেজান বলেন, অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা দিতে ঢাকায় এসেছিলাম। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর যাওয়ার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেসের টিকিট কিনি। সুন্দরী ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। রাত থেকে কয়েকবার ট্রেনের গন্তব্য জানতে মোবাইলে এসএমএস দিয়েছি। কিন্তু কোনোবারই ট্রেনের গন্তব্য জানতে পারিনি। এসএমএস দিলে ফিরতি এসএমএস আসছে ‘ডাটা নট এভেলেবেল’।

তিনি বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে ট্রেনের গন্তব্য জানতে না পারার কারণে সকাল ৬টার দিকে স্টেশনে আসি। স্টেশনে এসে শুনি ট্রেন যমুনা সেতুর কাছে। কমলাপুর পৌঁছাতে ৯টা বাজতে পারে। উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই স্টেশনেই বসে রয়েছি।