ববি বগুড়া শহর আ’লীগের সা. সম্পাদক নির্বাচিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬২ বার।

বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল হাসান ববি। শনিবার ওই পদে ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে রফি নেওয়াজ খান বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ফলে আগামীতে বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব রবিন ও ববির হাতেই থাকছে।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল হাসান ববি পেয়েছেন ২০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী শাহাদত হোসেন শাহীনের পক্ষে পড়েছে ১৭১ ভোট। অপর দুই প্রার্থী যথাক্রমে শেখ শামিম ও মাহমুদুন্নবী রাসেল পেয়েছেন যথাক্রমে ৬১ ও ৬ ভোট। শনিবার সকালে শহীদ খোকন পার্কে সম্মলন শেষে বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ৪৪৯জন কাউন্সিলের মধ্যে ৪৪৫জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ৬ বছর আগে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর গঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিজ নেওয়াজ খান রবিনকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও এতদিন সম্মেলনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এজন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমারকে প্রধান করে ৬ সদসের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। 
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা জন্য গত ৫ নভেম্বর নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচনকারী ৪৪৯ জন কাউন্সিলরের তালিকা পরদিন ৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়। এরপর গত ৮ নভেম্বর নির্ধারিত দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৮জন তাদের মনোননয়নপত্র দাখিল করেন।
সভাপতি পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তারা হলেন- শহর কমিটির সদ্য বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক রফিজ নেওয়াজ খান রবিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান বকুল ও ফারুক রহমান খান লিটন। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাইকালে শেষোক্ত ফারুক রহমান খান লিটনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। অপর দু’জন গত ৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে রফি নেওয়াজ খানকে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে সদ্য বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শেখ শামিম, শাহাদৎ হোসেন শাহীন, ওবায়দুল হাসান ববি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদন্নবী রাসেল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।