নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬৫ বার।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া, সেলাই মেশিন বিতরণসহ বিভিন্ন ধরণের ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।


এছাড়াও তার ছেলে রাব্বীর বিরুদ্ধে ছিনতাই, সরকারি জায়গা দখলের পর স্থাপনা নির্মাণ করে বিক্রি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মমতাজ বেগম। এছাড়াও সেলাই মেশিন বিতরণ এবং বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও পঙ্গু ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নামে গ্রামের সহজসরল মানুষের অর্থ আত্মসাত করছেন তিনি।


তারা আরও জানান, নির্বাচনের সময় দুইকক্ষ বিশিষ্ট টিনের বাড়িতে বসবাস করতেন মমতাজ। কিন্তু এখন সেখানে চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন তিনি। তার ছেলে রাব্বী উপজেলার রেলি ব্রাদার্স এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে সেখানে ৬টি দোকান নির্মাণ করে অন্যের কাছে বিক্রি করেছেন।


ভুক্তভোগী জয়সাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলেকে রেলে চাকরি দেওয়া কথা বলে ২০১৭ সালে সাড়ে ৩লাখ টাকা নিয়েছেন মমতাজ। নিজের শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি করে তার হাতে টাকা তুলে দিয়েছি। কিন্তু আজও ছেলের চাকরি হয়নি। এখন টাকা ফেরত চাইলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পরে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করলে কি যেন লিখে থানায় পাঠিয়ে দিলে পুলিশ ওই কাগজ রেখে আমাকে পাঠিয়ে দেয়।


ভুক্তভোগী জাতআমরুল গ্রামের আফরোজা বলেন আমার ছেলেকে ব্যাংকে চাকরি নিয়ে দিতে চাইলে মমতাজের হাতে ৩ লাখ টাকা দেয়। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে দিনে দিনে এক লাখ ত্রিশ হাজার দিয়েছেন। আরও এক লাখ সত্তর হাজার টাকা পাবো।


তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মমতাজ বেগম বলেন, আমার এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাদের হেয় করা হচ্ছে। আমরা অতোটা খারাপ হলে দুই বার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতাম না।


আত্রাই উপজেলার কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী সুফিয়া বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের বিরদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলে আত্রাই থানার ওসিকে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।


আত্রাই থানার ওসি মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়াও তার ছেলে রাব্বীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।