পেঁয়াজ নিয়ে হুলুস্থুল: পুলিশের গুলিতে আহত ১

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৭ বার।

সিলেটে টিসিবির মাধ্যমে র‌্যাবের জব্দকৃত সাত হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রির সময় পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ চন্দ্রকান্ত সিংহকে (৫৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে গুলি লেগেছে এবং বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।

প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রির সময় ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যেই পুলিশের অস্ত্র থেকে আচমকা গুলি বের হয়ে গেলে ওই ব্যক্তি আহত হন বলে উপস্থিতরা জানান।

সোমবার বেলা দেড়টার দিকে নগরের রিকাবীবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনপ্রতি এক কেজি পেঁয়াজের জন্য হাজারো মানুষের ভিড় জমে। ভিড় সামলাতে ধাক্কাধাক্কির সময় পুলিশের মিসফায়ারে একজন গুলিবিদ্ধ হন। ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হন আরেক নারী।

আহত চন্দ্রকান্ত সিংহ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মৃত গকুল সিংহের ছেলে।

সিলেট মহানগর পুলিশের কতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) রিতা বেগম জানান, রিকাবীবাজারে কবি নজরুল মিলনায়তনের সামনে ট্রাকযোগে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির সময় প্রচুর মানুষের ভিড় লাগে। পুলিশ তখন লাইনে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় একজন পুলিশ কনস্টেবলের গুলিভর্তি শটগান থেকে মিসফায়ার হয়ে একটি গুলি বের হয়ে যায়। এতে চন্দ্রকান্ত সিংহের হাতে গুলি লাগে। এ সময় পড়ে গিয়ে আহত হন আলেয়া বেগম নামের (৫০) আরেক নারী। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ইকরা গ্রামের শাহেদ আহমদের স্ত্রী।

র‌্যাব ও পুলিশসূত্র জানায়, ভারত থেকে চোরাইপথে আসা সাত হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ শুক্রবার সিলেট শহরতলির বটেশ্বর এলাকায় আটক করে র‌্যাব-৯। পরে পেঁয়াজগুলো শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। রবিবার শাহপরান থানা পুলিশ এই পেঁয়াজ নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তা বন্ধ হয়। একই সঙ্গে আদালত উক্ত পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে টিসিবির মাধ্যমে নগরীতে বিক্রির নির্দেশ দেন।

টিসিবির সিলেট আঞ্চলিক প্রধান ইসমাঈল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার সকালে নগরীর কিনব্রিজ এলাকা, রিকাবীবাজার ও দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল জনপ্রতি ২ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে। কিন্তু ক্রেতার উপচেপড়া ভিড় দেখে জনপ্রতি ১ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, তিনটি বিক্রয় পয়েন্টেই শত শত ক্রেতার দীর্ঘ লাইন ছিল। এ জন্য তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।