বসল ১৬তম স্প্যান, দৃশ্যমান হল পদ্মা সেতুর আড়াই কিলোমিটার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৩৯৭ বার।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের উপর স্প্যান ৩ ডি বসানো হয়। দুপুর ১টার দিকে এ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২৪০০ মিটার তথা ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হল।

এর আগে এদিন সকাল ১০টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান ই’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে এবং ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাসমান ক্রেন সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর শুরু হয় পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, ৩-ডি স্প্যানকে অনেক আগেই পিলারের ওপর বসানোর উপযোগী করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে এই স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে আশা হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়।

চলতি বছরের মধ্যে সেতুর ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩ নম্বর পিলারের ওপর চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সর্বশেষ চলিত বছরের ২২ অক্টোবর জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয় ১৫তম স্প্যান '৪-ই'।

জানা গেছে, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে ¯স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে-স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।